Showing posts with label আমাদের কথা. Show all posts
Showing posts with label আমাদের কথা. Show all posts

Tuesday, July 20, 2021

উলিপুরে চরাঞ্চলের শিশুদের নিয়ে ছুটিরপাতার ঈদ মেহেদী উৎসব

উলিপুরে চরাঞ্চলের শিশুদের নিয়ে ছুটিরপাতার ঈদ মেহেদী উৎসব


 

ঈদ মানে আনন্দ । মুসলিম জাতির জন্য এক বিশেষ দিন। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে শিশুদের আগ্রহের শেষ নেই। অভিভাবকরাও সবাই চায় তাদের সন্তানের সমস্ত বায়না মেটাতে । তারপরেও কিছু বায়না অপূরণীয় রয়েই যায়। কারো বা কখনো পূরণই হয় না। পূর্ণ হয়ে উঠে না ঈদের আনন্দ । নতুন জামার পাশাপাশি শিশুদের অন্যতম বায়না হলো “মেহেদী”। ছোট্ট ছোট্ট দুটি হাতে মেহেদী রাঙাতে পারলেই যেন ঈদের আনন্দ সার্থক হয়।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কয়েকটি চরের সেই সকল সুবিধা বঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের নিয়ে “ছুটিরপাতা” ম্যাগজিন আয়োজন করে ঈদ মেহেদী উৎসব। স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং মাস্ক পরিধান করে প্রায় শতাধীক শিশুদের হাতে মেহেদীর আল্পনায় রাঙিয়ে দেওয়া হয়। এতে বাঁধভাঙা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে সেই সকল শিশুরা। এছাড়াও আগত সকল শিশুদের মাঝে মাস্ক এবং চলকেট বিতরণ করা হয়।
মেহেদী রাঙিয়ে দিতে উৎসবে অংশ নেওয়া তরুণ নুরআলম সিদ্দিক জানায়, ‘আগামীকাল ঈদুল আযহা। দিনটি সবার জন্য আনন্দের। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আনন্দ যেন গরিব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিলাম। প্রতি বছর বাড়িতে ছোট ভাই বোনদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিই। তবে এবার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিয়ে অনেক ভাল লাগছে।
ছুটিরপাতার নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল ইসলাম জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা প্রতিবছর তাদের জন্য এমন আয়োজন করেই যাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ‘এসব শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরাও আনন্দিত। সমাজের সবাই যদি এসব শিশুদের ছোট ছোট আনন্দের ভাগিদার হয়ে যায়, তাহলে তাদের মলিন মুখেও নির্মল হাসি ফুটে উঠবে।
’মেহেদী উৎসবের সমন্বয়ক ও ছুটিপাতার সম্পাদক ও প্রকাশক তানভীরুল ইসলাম জানান- ঈদ সবার । আর আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার দ্বায়িত্ব আমাদেরই সকলের। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমাদের ক্ষুদ্র ফান্ডে আমরা চেষ্টা করেছি সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে চরাঞ্চলের শিশুদের মাঝে। কারণ চরাঞ্চলের শিশুরা বরাবর এসব থেকে পিছিয়ে

Saturday, November 28, 2020

ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে

ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে


কিশোর ও তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশে উলিপুর থেকে প্রকাশিত "ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে । প্রতিটি কপির মূল্য মাত্র ২০ টাকা। উলিপুর শহরে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাগাজিন ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। 

 আপনার কপি অর্ডার করতে কল করুন 01780613931 অথবা 01710308306

Thursday, November 12, 2020

ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে

ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে

কিশোর ও তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশে উলিপুর থেকে প্রকাশিত "ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন" এর নভেম্বর (প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী) সংখ্যাটি এখন বাজারে । প্রতিটি কপির মূল্য মাত্র ২০ টাকা। উলিপুর শহরে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাগাজিন ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। 

 

আপনার কপি অর্ডার করতে কল করুন 01780613931 অথবা 01710308306

উলিপুরে  কিশোরদের ছোট কাগজ ’ছুটিরপাতা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

উলিপুরে কিশোরদের ছোট কাগজ ’ছুটিরপাতা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন


কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে কিশোরদের ছোট কাগজ ’ছুটিরপাতা’র ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বুধবার (১১নভেম্বর) বিকালে উপজেলার চৌমুহনী বাজার অক্সফোর্ড মডেল পাবলিক স্কুলে কেক কেটে ছুটিরপাতা ম্যাগাজিনটি ৫ম বর্ষে পদাপর্ণ করলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক আবু হেনা মুস্তাফা, অক্সফোর্ড মডেল পাবলিক স্কুলের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান আসাদ,ধামশ্রেণী ইউপি সদস্য খন্দকার আব্দুল মতিন মন্টু, ছুটিরপাতা ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু আনাছ. নির্বাহী সম্পাদক এস এম নাহিদ সুলতান, রাকিবুল ইসলাম ও ছুটিরপাতা’র বিভিন্ন এলাকার পাঠক ফোমামের সদস্যগণ। উল্লেখ্য, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে প্রথম প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিনটি। আজ হাটি হাটি পা পা করে ৪র্থ বর্ষ পেরিয়ে ৫ম বর্ষে পা দিল ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন। শুধু ম্যাগাজিন প্রকাশে নয় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-গন্জ ও শহরের শিশু-কিশোরদের সুস্থ্য জীবন যাপন, সুস্থ্য পরিবেশ বন্ধন, মানসিক বিকাশ, প্রতিভাবান দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগীতা ও সংকটময় পরিস্থিতিতে সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর পরিবেশ গঠনে ছুটিরপাতা পরিবার নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

Friday, October 2, 2020

 উলিপুরে মাসিক পাঠচক্র এবং লেখালেখি কলাকৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

উলিপুরে মাসিক পাঠচক্র এবং লেখালেখি কলাকৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাসিক পাঠচক্র এবং লেখালেখি কলাকৌশল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে কিশোরদের ছোট কাগজ ছুটিরপাতা ম্যাগাজিন এর উদ্যোগে মাসিক পাঠচক্র এবং লেখালেখি কলাকৌশল বিষয়ক কর্মশালা উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অক্সফোর্ড মডেল পাবলিক স্কুলের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক আবুহেনা মুস্তাফা, ছুটিরপাতার সম্পাদকীয় কমিটি, বিভিন্ন ফোরাম থেকে আগত কিশোর তরুণরা।

Thursday, June 4, 2020

ছুটিরপাতা ঈদ ফটো কন্টেষ্ট! অংশ নিয়ে জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ ও বই!

ছুটিরপাতা ঈদ ফটো কন্টেষ্ট! অংশ নিয়ে জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ ও বই!

ছুটিরপাতা ঈদ ফটো কন্টেষ্ট! অংশ নিয়ে জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ ও বই!

ছুটিরপাতা শিশু কিশোরদের নিয়ে কাজ করে।  শিশু কিশোরদের মানসিকতা বিকাশে এবারের আয়োজন ঈদ ফটো কন্টেষ্ট। ১ম পুরুষ্কার থাকছে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ ও বই। এছাড়াও আরো তিনটি পুরুষ্কার৷

অংশ নেয়ার শর্তাবলী-
>>অবশ্যই ছুটিরপাতার নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে৷ আপনি নিয়মিত গ্রাহক না হলে নিচের লিংকে গিয়ে ফরমটিপূরণ করুন।  (নিয়মিত গ্রাহক শর্ত- যে কোনো পরিমান কপি নিয়মিত ক্রয় করতে হবে। গ্রাহক মেয়াদ সর্বনিম্ন ২ বছর। নিয়মিত গ্রাহক ফরম লিংক https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLScSPxJYwartW-SqhdhUNYv2EJg4v9i1gTcNZIF002JxBysBpg/viewform?usp=sf_link>>)

>>ছবি জমা দেয়ার জন্য নিজের প্রোফাইলে #chtirpata-pc লিখে ছবিটি পোষ্ট করতে হবে৷ অবশ্যই # হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করবেন৷
>>এরপর আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে আপলোড কৃত ছবিটি এবং গ্রাহক নাম্বার সহ ছুটিরপাতার পেইজে বা আইডিতে বা মেইলে পাঠাবেন। (যারা গ্রাহক ফরমপূরণ করেছেন তারা উল্লেখকৃত নিজ নাম্বারে গ্রাহক নাম্বার বার্তা পাবেন।
>>আপনার টাইম লাইনে পোষ্টকৃত ছবিটির লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার এর উপর  ৫০% মার্ক থাকবে৷

Wednesday, May 13, 2020

ঈদ শপিং হোক অনলাইনে, সুরক্ষিত থাকুক শিশু

ঈদ শপিং হোক অনলাইনে, সুরক্ষিত থাকুক শিশু


আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দুই ঈদের মধ্যে মানুষ দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর বেশ জাঁকজমকভাবে পালন করে। নতুন নতুন বাহারি পোশাকের রঙে ঈদের দিনটি ছন্দিত হয়ে ওঠে ঈদগাহ। সব বয়সীদের মধ্যে এই পোশাকের খেলা লক্ষ করা গেলেও শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে এর ছোঁয়াটা বেশি দেখা যায়; যা ঈদকে আরও বর্ণিল ক
বর্তমানে আমাদের দেশে চলছে করোনার মতো ভয়াবহ একটা মহামারি। গ্রাস করে ফেলেছে পুরো পৃথিবীকে। তরুণ, যুবক, বৃদ্ধদের সঙ্গে শিশুরাও এর কবলে পড়ছে নিয়মিত। চিকিৎসকদের মতে, হাত ধোয়া, বাইরে গেলে মাস্ক পরার পাশাপাশি অন্যদের সংস্পর্শে না আসা—এর জন্য ঘরে থাকা জরুরি। ঘরে থাকলে বাইরের লোকের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা পেতে পারি। আর এর জন্য সারা দেশের স্কুল–কলেজ ও বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের সব শপিং মল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ দীর্ঘদিন থেকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঈদ উপলক্ষে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে লকডাউনে বন্ধ থাকা শপিং মলগুলো। ইতিমধ্যেই রাজধানীর বড় দুটি শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। সংবাদ এবং পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ শপিং মল বন্ধ থাকবে এবারের ঈদে। আবার কোনো দোকানমালিক এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন।
ঈদের আগে দোকান ও শপিং মল পুনরায় চালু করা অর্থনীতির স্থবিরতাকে কাটিয়ে উঠতে সহায্য করলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এর কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বাজারে সেনাবাহিনীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তীক্ষ্ণ নজর না থাকলে হয়তো এই পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে।
লকডাউন শিথিল হলেও বিপাকের আশঙ্কা কাটেনি এখনো। প্রবীণ, শিশু—এরা বরাবরই ঝুঁকিতে। সঙ্গে দুর্বল স্বাস্থ্য যাদের, তারা এখনো করোনার ঝুঁকিমুক্ত নয়। ঈদে শিশু–কিশোরদের মধ্যে ঈদের শপিং করার ব্যাপারটা অনেক বেশি। এমন অবস্থায় শপিং মলে ঈদের শপিং করতে যাওয়া একটি শিশুর পক্ষে হুমকিস্বরূপ। বর্তমান দেশে দৈনিক আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু ইতিমধ্যে বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, ফলে নির্বিঘ্নে তাঁরা সর্বত্র চলাফেরা করবেন এবং ভাইরাসটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেন, সংক্রমিত লোকেরা যদি বাজারগুলোতে ভিড় করেন এবং বিক্রয়কর্মী হিসেবে দোকানগুলেতে কাজ করেন, তবে তাঁরা ভাইরাস সংক্রমণে ‘সুপার স্প্রেডার’ হয়ে উঠবে। একটি শিশু এই পরিস্থিতিতে শপিং মলে গেলে করোনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। তাই ঈদে শপিং মলে না যাওয়াই একটি শিশুর জন্য মঙ্গল। আজকের শিশু–কিশোরেরা আগামী দিনে দেশের কর্ণধার হয়ে কাজ করবে। তাই এই অবস্থায় অন্তত শিশু–কিশোরদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিকল্প হিসেবে অনলাইনে ঈদের শপিং নিশ্চিত করা জরুরি। এতে করোনার ঝুঁকি কিছুটা কম থাকতে পারে। আসুন সবাই নিজ দায়িত্বে পরিবারের শিশু–কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক ‘ছুটিরপাতা’ (কিশোরদের ছোটকাগজ), উলিপুর, কুড়িগ্রাম। mdtanvirul54@gmail.com

Tuesday, May 12, 2020

করোনায় হোক ঘর বন্দী শিশুর মানসিক বিকাশ

করোনায় হোক ঘর বন্দী শিশুর মানসিক বিকাশ

জেলে বন্দী না থাকলেও করোনার কারণে ঘরে বন্দী শিশুরা। করোনা সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। গ্রাস করে ফেলেছে পুরো পৃথিবীকে। যুবক, বৃদ্ধদের সঙ্গে শিশুরাও এর ছোবল থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। চিকিৎসকদের মতে, হাত ধোয়া, বাইরে গেলে মাস্ক পরার পাশাপাশি অন্যদের সংস্পর্শে না আসা—এর জন্য ঘরে থাকা জরুরি। ঘরে থাকলে বাইরের লোকের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা পেতে পারি।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে কয়েক ধাপে। শিশুরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে বাড়িতেই। কেউবা সহযোগিতা নিচ্ছে টেলিভিশন কিংবা ইন্টারনেট থেকে।

শিশুকে ঘুম থেকে উঠিয়েই হাতে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবই, যা চলছে রাত পর্যন্ত, মাঝে খাবার ও গোসলের বিরতি ছাড়া। এমন পরিবেশে এক একটা শিশুর ওপর বয়ে চলছে ঝড়। গ্রামের শিশুরা বাড়ির আঙিনায় বের হতে পারলেও শহুরে শিশুদের দিন কাটছে পাঠ্যবই হাতে চার দেয়ালের ভেতরে। সুস্থ পারিপার্শ্বিক পরিবেশে একটি শিশু যখন বড় হয়, তখন চারদিকের পরিবেশ তাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে এবং এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে। শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। অভিভাবকেরা এই বিষয়ে জ্ঞাত থাকলেও বিষয়টা মাথায় নেন না।

শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা শিশুর পাঠ্যবইয়ে পড়াশোনায় তখনই মনোযোগ আসবে, যখন তার মস্তিষ্কে কোনো ধরনের চাপ থাকবে না৷ একরকম আনন্দময় পরিবেশ যখন তৈরি হবে। এই আনন্দময় পরিবেশ তৈরি কিংবা চাপ কমানোর উত্তম মাধ্যম ঘরের বাইরের পরিবেশ কিংবা খেলাধুলা। যা এখন এই করোনা পরিস্থিতিতে সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই শিশুরা আছে করোনা ও অভিভাবক এই দুই দিকের চাপে। শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়তে দেখা যাচ্ছে, যা একটা শিশুর মানসিক বিকাশে অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিবেশে শিশুকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে শিশুর বিনোদন নিশ্চিত করতে হবে। বিনোদনের জন্য ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিশুর হাতে তুলে দিন মানসিক বিকাশে সহায়ক কিছু বই, যা তাকে বর্ধিত জ্ঞানের পাশাপাশি দেবে অনেকখানি আনন্দ।

দীর্ঘদিনের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা যদি ছবি আঁকার সুযোগ পায়, তাহলে তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে শিশুদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অভিনব চিন্তার মাধ্যমে শিশু যখন বিভিন্নভাবে শিল্পচর্চার সুযোগ পায়, তখন তার সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। সে অসাধারণভাবে ভাবতে ও চিন্তা করতে শেখে, যা তাকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে শেখায় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সে তখন সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তাই হাতে তুলে দিতে পারেন রংপেনসিল আর আর্ট বোর্ড।

শৈশব থেকেই শারীরিক ও মানসিক অনেক কাজের ওপরেও রয়েছে সংগীতের নিবিড় প্রভাব। সংগীত মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ভালো সংগীত শুনলে মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে শিশুকে আগ্রহী করে তোলে। তাই আপনি শিশুকে গান শোনাতে ও গাওয়াতে সাহায্য করতে পারেন। এ ছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে শিশুকে টেলিভিশনের মাধ্যমে মানসিক বিকাশে সাহায্য করতে পারেন। আসুন, শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে বাঁচাই পুরো বিশ্বকে।

লেখক: তানভীরুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশক
কিশোরদের ছোট কাগজ
"ছুটিরপাতার"


mdtanvirul54@gmail.com


বিশ্বেন ১০ ধনী শিশু

বিশ্বেন ১০ ধনী শিশু

ইউটিউবের কল্যানে শিশুরাও এখন লাখ লাখ ডলার ইনকাম করছে। হঠাৎ করেই খুব সুন্দর মুখ এবং ছোট্ট ভয়েসের বাচ্চারা মধ্যবয়সীদের মতো রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছে। সত্যিই এখন সৃজনশীল বাচ্চা হওয়ার মতো বেশি লাভজনক আর কিছুতে নেই। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কয়েকজন শিশু রয়েছে যাদের প্রায় প্রত্যেকেই উপার্জন করছে লাখ লাখ ডলার। এই শিশুরা বিভিন্ন উৎস থেকে এই অর্থ উপার্জন করে করছে। এর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সহযোগিতা থেকে পাওয়া অর্থ, মানুষের সামনে উপস্থিতি এবং স্পন্সর পোস্ট।

শীর্ষ দশ শিশুর এই তালিকায় মূলত স্থান পেয়েছে ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সর্বাধিক অর্থ উপার্জন করা শিশুরা। এবার দেখা নেয়া যাক অর্থ উপার্জনের হিসেবে কারা শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।

১) মৌলাই হাসান (মরোক্কোর ক্রাউন প্রিন্স): আয়ের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে মরোক্কোর ক্রাউন প্রিন্স মৌলাই হাসান। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ডলার। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ সে উত্তোরাধিকার সূত্রে পেয়েছে।

২) ব্লু আইভি (স্যার ও রুমি কার্টারের কন্যা) : তার সম্পদের পরিমাণ ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

৩) প্যাক্স, জাহারা, শিলোহ, নক্স এবং ভিভিয়েন (জোলি-পিট দম্পতির সন্তান) : এরা সবাই বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা ও অভিনেতা ব্রাড পিটের সন্তান। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৮ কোটি ৯৪ লাখ ৭৫ কোটি ডলার। এই বিপুল সম্পত্তি তারা বাবা-মা থেকে পেয়েছে।

৪) নর্থ, সেইন্ট, শিকাগো এবং পাসালাম ওয়েস্ট (কানইয়ে ওয়েস্ট-কিম কার্দাশিয়ান দম্পতির সন্তান) : এরা সবাই মার্কিন টিভি অভিনেত্রী ও মডেল কিম কার্দাশিয়ান ও গায়ক কানইয়ে ওয়েস্টের সন্তান। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ২৩ লাখ ১৬ হাজার ডলার।

৫) রায়ান কাজী (ইউটিউবার) : সাত বছরের শিশু রায়ান কাজীর নিজের উপার্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ডলার। রায়ান যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। ইউটিউবে তার সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিওগুলিতে দেখা যায় সে তার উপহারের বাক্স খুলে বিভিন্ন খেলনা বের করে। সেই খেলনাগুলো পর্যালোচনা করে রিভিউ দেয় রায়ান। এভাবে ঘণ্টায় অন্তত দুই হাজার ডলার উপার্জন করছে এই শিশু।

৬) ভ্যালেন্টিনা পলোমা পিনাল্ট (সালমা হায়েক-ফ্রঁসোয়া অঁরি পিনো দম্পতির কন্যা) : বিখ্যাত মেক্সিকান টিভি অভিনেত্রী সালমা হায়েক ও ফ্রঁসোয়া-অঁরি পিনো দম্পতির কন্যা পিনাল্ট। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৯ হাজার ডলার। বাবা-মা থেকেই এই বিপুল সম্পদ সে পেয়েছে।

৭) জো জো সিউয়া (গায়িকা, ইউটিউবার) : অভিনয়, গান, নাচ ও ইউটিউব থেকে সে মূলত উপার্জন করে থাকে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

৮) ইভান মোয়ানা (ইউটিউবার) : ইভান টিউব এইচডি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে তার। সেখান থেকে বিভিন্ন খেলনা ও রেসিপি দেখিয়েই মূলত উপার্জন করে ইভান। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

৯) ট্রু থম্পসন (খলি কার্দাশিয়ান-ট্রিস্টান থম্পসন দম্পতির কন্যা): মূলত বাবা-মা থেকে প্রাপ্ত অর্থেই সেরা ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে শিশুটি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ডলার।

১০) ড্যানিয়েল বার্কহেড (মডেল-অভিনেত্রী) : মূলত মডেলিং ও রিয়েলিটি টিভিতে পার্ফর্মেন্স করে এই বিপুল পরিমাণ উপার্জন করেছে বার্কহেড। তার উপার্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ডলার।

সূত্র- জি জি মিডল ইস্ট

Monday, May 11, 2020

চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
“ট্যাংকলরি কভার ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন” বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর শ্রমিকদেরকে নিয়ে গঠিত  চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে কর্মহীন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড ব্যাপারী গ্রামের কর্মহীন অসহায়  ৫০পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন । খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ও আলু। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ড্রাইভার), সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন খন্দকার মন্টুসহ সংগঠনের সদস্যগণ।